এক্সেস অবজেক্ট ধারণা?
এক্সেস ডাটাবেজে ৪ ধরণের অবজেক্ট রয়েছে। যথা: টেবিল, কুয়েরি, ফর্ম, এবং রিপোর্ট। এই সকল মিলিত অবজেক্টের সমন্বয়ে আপনার চাহিদা মোতাবেক ডাটা এন্ট্রি, সংরক্ষণ, এনালাইজ এবং কম্পাইল সম্পাদন করা যায়।
এ টিউনে আমরা এক্সেস এর ৪টি অবজেক্ট সম্পর্কে জানবো। এবং বোঝার চেষ্টা করবো কিভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে পরিপূর্ণ একটি ফাংশনাল রিলেশনাল ডাটাবেজ তৈরি করতে পারে।
টেবিল (Table)
আপনি নিশ্চয় জেনে গেছেন যে, ডাটাবেজ হলো ডাটা কালেকশন যা বিভিন্নভাবে অর্গানাইজ করা যায়। এম এস এক্সেসে সকল ডাটাসমূহই টেবিলে সংরক্ষিত হয়। আর এ কারণেই টেবিলকে ডাটাবেজের হার্ট (Heart) বলা হয়।
আপনি হয়তো পূর্ব হতেই অবগত যে, টেবিল হলো রো এবং কলামের সমন্বয়। নিচের লাল চিহ্নিত অংশগুলো লক্ষ্য করুন।
এম এস এক্সেসে রো কে রেকর্ড এবং কলামকে ফিল্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একটি ফিল্ডের প্রত্যেকটি তথ্য একই ধরণের হয়ে থাকে। আরেকটু খোলাসা করে বোঝার জন্য বলতে হয়। যেমন ধরুন, আপনার টেবিলে Name ও Address নামে দুটি ফিল্ড রয়েছে। ডাটা এন্ট্রি করার সময় Name ফিল্ডে শুধু নাম এবং Address ফিল্ডে শুধু ঠিকানা লিখা হবে।
একইভাবে এক্সেসে প্রতিটি রো একেকটি রেকর্ড হিসেবে পরিগণিত হয়। একটি রো এর প্রতিটি সেলের তথ্যের সমন্বয় হলো রেকর্ড। নিচের ৩নং রো লক্ষ্য করুন। জব্বার নামের ব্যক্তির রেকর্ড হিসেবে কোড, নাম, টাইটেল, সেলারি, ঠিকানা ও জয়েন ডেট ইত্যাদি প্রদর্শন করছে।
মূলত টেবিল হলো ক্লোজলি রিলেটেড তথ্যসমূহ স্টোর করে। ধরুন, আপনি একটি কম্পিউটার ব্যবসা পরিচালনা করেন। আপনার প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার রিলেটেড মালামাল বিক্রয় করা হয়।
এজন্য আপনি একটি ডেটাবেজ তৈরি করেছেন। যার ফিল্ডগুলো হলো ID, Customer’s Name, Mobile No, Home Address এবং Email Address।
আপনি যদি আরো কোন তথ্য যুক্ত করতে চান যেমন- আপনি চাচ্ছেন প্রতিটি কাস্টমারের বিক্রিত পণ্যের নাম লিপিবদ্ধ করবেন। এজন্য আপনাকে শুধুমাত্র পূর্বের টেবিলের মধ্যে নতুন একটি ফিল্ড যুক্ত করে তার ভেতর তথ্য ইনপুট করতে হবে।
ফর্ম, কুয়েরি এবং রিপোর্ট কী?
ডাটাবেজের টেবিল অবজেক্টের ভেতর ডাটাসমূহ স্টোর থাকে এবং বাকী অবজেক্টগুলো- ফর্ম, কুয়েরি, এবং রিপোর্ট এর টেবিলে স্টোরকৃত ডাটা নিয়ে বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে থাকে। এই সমস্ত অবজেক্টগুলো আপনার ডাটাবেজের টেবিলে সংরক্ষিত রেকর্ডগুলির সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে থাকে।
ফর্ম (Form)
রেকর্ডসমূহ ইনপুট (ইনসার্ট), মডিফাই এবং ভিউ করার জন্য ফর্ম ব্যবহার করা হয়। যখন ফর্মের মাধ্যমে ডাটা ইনপুট করা হয় তখন ইনপুটকৃত রেকর্ড টেবিলে যুক্ত হয়। ফর্মের মাধ্যমে একাধিক টেবিলেও ডাটা ইনপুট করা যায়।
যদিও টেবিলে সরাসরি ডাটা ইনপুট করা যায়। তবে কাজটি খুবই বোরিং। কিন্তু একাধিক টেবিলে ইনপুট করার ক্ষেত্রে কাজটি জটিল হয়ে পড়ে। কাজটি খুব সহজেই নান্দনিক ফর্মের উপস্থাপনের মাধ্যমে এক বা একাধিক টেবিলে ডাটা ইনপুট করা যায়।
কুয়েরি (Query)
কুয়েরি দ্বারা ডাটাসমূহ খুঁজে বের করা যায় এবং একাধিক টেবিল হতে তথ্য সংকলন করা যায়। এম এস এক্সেসে যখন কুয়েরি তৈরি করবেন; তখন আপনার কাঙ্খিত তথ্য সঠিকভাবে খুঁজে পেতে আপনাকে সঠিক সার্চ কণ্ডিশন যুক্ত করতে হবে।
সাধারণ সার্চের চেয়ে কুয়েরি হলো আরো অনেক বেশি পাওয়ারফুল। আপনি একাধিক শর্তসাপেক্ষে টেবিল হতে কুয়েরির মাধ্যমে ডাটা খুঁজে বের করতে পারবেন। একটি ওয়েল ডিজাইন কুয়েরি দ্বারা খুব সহজে টেবিল হতে জটিল তথ্য খুঁজে বের করা যাবে। (কুয়েরি তৈরির সময় বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে)
রিপোর্ট (Report)
ডাটাবেজের রক্ষিত টেবিলের প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ প্রতিবেদন আকারে দৃষ্টিনন্দন ফরমেটে প্রদর্শন ও প্রিন্ট করাকেই রিপোর্ট বলে। রিপোর্ট কয়েক ধরণের হয়ে থাকে।
- ডিটেইল রিপোর্ট
- সামারি রিপোর্ট
- ক্রস-ট্যাবুলেশন রিপোর্ট
- গ্রাফিক্স এণ্ড চার্ট রিপোর্ট
- ফর্মস রিপোর্ট এবং
- লেবেল রিপোর্ট।
রিপোর্টের বিভিন্ন অংশ
এম এস এক্সেস রিপোর্ট ডিজাইন বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করা থাকে। সেকশনসমূহ নিম্নরূপ:-
- রিপোর্ট হেডার
- পেজ হেডার
- গ্রুপ হেডার
- ডিটেইল
- গ্রুপ ফুটার
- পেজ ফুটার
- রিপোর্ট ফুটার
সুপ্রিয় পাঠক, আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। এক্সেস শুরু করা – এক্সেস ২০১৬ বাংলা টিউটোরিয়াল: পর্ব ৩ এর বিস্তারিত টিউটোরিয়াল নিয়ে খুবই শিঘ্রই আপনাদের সামনে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ।
আমাদের সাথে ধৈর্য ধরে থাকার জন্য ধন্যবাদ। টিউনটি ইনফরমেটিক হলে বন্ধুমহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কমেন্টস করে আমাদের টিউনের মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনার সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।